কথা বলেত দাও সমানে সমান
কামালউদ্দিন নীলু
উন্মাদেরা যখন আমাদের নেতা, তখন সময়টা হয়ে উঠেছে
মহামারী অথবা ধরা যাক আরো একটা অতিমারী। আর তাই
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি পৃথিবীর বিচারবুদ্ধির মৃত্যু
ঘটেছে। মৃত্যু ঘটেছে যেহেতু, সেহেতু সবকিছুই নাই, নাই, নাই হয়ে
যায়। সারাবিশ্বে না (‘র) খোঁজে একটা অভ্যুত্থান ঘটবে। ঘটবে
কী, ঘটতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেও যাদেরকে আমরা
বিকৃতমস্তিস্ক কিংবা আধাখেঁচড়া মানুষ বলতাম, গতরাতে তারাই
সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ হয়ে উঠেছে। কেউ যদি বিষয়টি একটু
যুক্তিসম্মতভাবে অথবা গভীরে, গভীরে, তলিয়ে, তলিয়ে চিন্তা
করে, তাহলে বলা যায়, যে সময়টাতে আমি ব্যাপারটা বুঝতে
পারলাম, ঠিক তখুনি তথাকথিত সুস্থমস্তিস্কের অন্যোন্যজীবীরা
শুকর-শুকরীর মত গর্জন করতে শুরু করলো। বিশ্বটা যেহেতু
ঘুরছে, আমাদেরকেও তার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুরতে হবে। আর বিশ্বটা
যদি উলটে যায়, তাহলে আমাদেরকেও উলটে যেতে হবে।
তারমানে ঠিক এই নয় যে, আপনাকে ঈশ্বরকে নগ্ন করবার
অধিকার দেয়া হয়েছে। দয়া করে ঈশ্বরকে আর নগ্ন করবেন
না। যেটুকু কাপড় ঝুলছে ওটা ঝুলতে দিন। দয়া করে হত্যা
করবেন না ঈশ্বরকে।
একটি জাতি এখন ক্রাইম নোবেলের ক্যানভাসের ফ্রেমে বন্দী।
জাতির শিল্পসাহিত্য সত্যি সত্যিই হাওয়া হয়ে যায়, যাচ্ছে।
নবারুণের ফ্যাতাড়ুরা এখন রাষ্ট্রের সৈনিক।
গল্পের পটভূমি এখন হিচককের ম্যাগগুফিন।
চারিদিকে বস্তা, বস্তা, বস্তাভর্তি আওয়াজ।
সত্য-মিথ্যার বেসাতি-বিজনেস-কারবার।
‘শুকর-শুকরীর সঙ্গমের আরম্ভর’।
তারিখ: মে ৮, ২০২৩



AstuteHorse