মিরাজ আহম্মদের কবিতা
মিরাজ আহম্মদ
১)
ঘোর আধার ভিড়ে যে পাখি লাশ লুকিয়ে আর্তনাদ আত্মসাৎ করে
মাছের পাখনায় যে নীলনদ নর্তকীর নৃত্য সংবরণ করে অসম্ভব সংঘাত-এ।
২)
ঝুলে থাকা বারান্দায় প্রতিটি প্রেমিকার লাশ বিভ্রান্ত বিষাদে শেষ চুম্বন এঁকেছিলো শূন্যে থাকা অহংকারে।
৩)
উপকথার সারাংশে কল্পরা উপ-কল্পনায় অনুভূতি’র আর্তনাদ খোদাই করে।
৪)
তুমি তোমার সর্বনামে স্বর্গ লুকাও। নৌকার নয়নে জলজ নরক – মৃত সব ঘাস প্রাণ খোঁজে ভ্রমরের ভ্রু’তে। ভ্রূণ গলে গিলে আসে শৈশব : ভাঙা ঝঞ্ঝাট বিভ্রাটে ভিড় খোলে একাকীত্বের। বিভ্রম ভিন্ন ও ভিন্ন বেদনার অভিন্ন আপনার আপনজন। আমি ও আমার ভেদাভেদ বিশেষ্যে অহেতুক আলাপ।
৫)
এই রোদ আগুনের বুকে পুড়ে গলে যায় সব অথচ তোমার হৃদয় জনিত অজুহাত শুধু গলে না – নির্বিকার দৃশ্যের মত স্তম্ভ গড়ে তুলে আরো কঠিন আগুন শিলা তৈরি করে। তাপ যে এক রোগ তুমি শুধু জানো না – আমি শুধু রোগের তাপে ভুগি ; পুড়ে বল ছাই হই – নিমিষে গলনাঙ্কের মাইনাসে বেধে দেই সকল যোগসূত্র।
৬)
প্রিয়তমা তোমার কি আজ ও মনে পড়ে না পল গগের চিত্রে তাহিতি দ্বীপে অনাবৃত স্তন যুগল আর কুসুম কমল সুগন্ধি ফুল-ফল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দুটি নারী – শতাব্দীর পর দৃশ্যে।
৭)
কি হবে –
পোড়া কাঠ কয়লায় জ্বলছে না আগুন
শ্মশানগুলো থেমে আছে লাশ পোড়ানোর ধান্দায়
কেরোসিন গন্ধ বুকে নিয়ে শুঁকছে আগুন মন্ত্র
শ্মশান সংসারে মদের মাতোয়ারা
পুড়ছে লাশ অগ্নি মদে।
৮)
সব শূন্য দু’হাতে নিয়ে বসে আছে শূন্য দেবী।
শূন্য দেখা শেষ হবে কবে? শূন্যযানে পুড়ছে অ’শূন্যতা । আত্ম-শূন্য ভেঙে দেখা হবে প্রিয়তম ভাঙাবাদ শূন্যতায়
৯)
বল কোকিল তোমার আত্ম-মৃত্যু /আত্মহত্যা কবে :?সমাধি প্রস্তর গড়ে ঘিরে ফুল নিয়ে দাড়িয়ে আছে নেশাপ্রবণ নৈশব্দ নৈশ্য।
বল যুবক ঐ?
১০)
আমিই বোধহয় তোমার কাছাকাছি এসে দূরত্বের দীর্ঘ সহজযানে নিজেকে বসিয়ে – পাহাড় ফুল জল সমাধি ঘোরে অভিমান রেখে
স্নান ছায়ায়
একটা
স্নানফুল
জরায়ু
তে
তীর্থ
ঘেরে
বসে
তারিখ: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫



AstuteHorse