পাঁচটি কবিতা -১
সুকান্ত বিশ্বাস
ফেরারি আলিঙ্গন
হৃদয়ের অসুখ। জটিলতা। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি বাতলে দিলেন আলিঙ্গন, অব্যর্থ মহৌষধ। দুর্বহ দীর্ঘশ্বাস আর খসখসে অনুভূতি যাবে দূরে।
ফিরে এসে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে উদ্বাহু আমি তোমার দিকে এগোচ্ছি। তুমি মহাভারত-এর অন্ধ রাজার রক্তাক্ত উপাখ্যান স্মরণ করে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালিয়ে যাচ্ছ নিরুদ্দেশ…
এবার মৌনতা
অনেক তো কথা হলো। এবার মৌন হই এসো। মূক আর বধীর হয়ে ভেসে চলো হৃদয় ভাসানে। আজ থেকে একটাই ইন্দ্রিয় আমাদের –। চোখে কোনো কান্না নয়, পায়ে আর পথ চলা হবে না জেনে, এসো হৃদয় দিয়ে হাসি কাঁদি, কথা কই । হৃদয়ের নৌকোয় পাল তুলে পাড়ি দেই অজানা বন্দর
১৫ ই আগস্ট
বুলেটবিদ্ধ সকাল ডানা ঝাঁপটাতে ঝাঁপটাতে অন্ধকার অলিন্দে এসে দাঁড়ায়। অতঃপর কিছু শর্তযুক্ত শুশ্রূষায় ঢোক গিলে বৈঠক সেরে নেয় সকাল আর অন্ধকার। সেই থেকে দৃষ্টিহীন কৌরবের সন্ত্রস্ত ছায়ায় আলোকে অভিসম্পাত করছে আমাদের বন্ধকি সকালেরা
পিতার দুই হাতে ধরে থাকা পাঁজরের আয়নায় কেউ আর তাকায় না মুখ তুলে। পাছে ধরা পড়ে যায় অজস্র ভ্রূকুটি
বিচ্ছেদ
বাউণ্ডুলে যাযাবর চোখে
পরিষ্কার হয়ে পড়ে জমে থাকা অজ্ঞতা।
অস্থিতে ধরা আছে ছুটন্ত সন্ধান। শিকারির টং হওয়া তীরের ফলায় গেঁথে থাকে সুখ। ব্যাধের কি ভালো লাগে বসে থেকে দিন গোনা বছর বছর? চালাও গতিমুখ অভ্রভেদী। এ জীবন মিলবে না কোনো দিন স্থিতিবিশ্বাসে
রক্তে মেলা নয়, লেখা আছে তুমুল বিচ্ছেদ; এই দেখ প্রত্নস্বাক্ষর।
কেন এই ঘর বাঁধা বালিয়াড়ি বাঁকে!
তুমি যে গভীর জলে
তুমি যে গভীর জলে
এত হাতছানি মুহুর্মুহু
আমি দিশেহারা
সাঁতারের শিক্ষাটুকু
যা আছে আমার
সে তো প্রাণ বাঁচানোর
তারিখ: নভেম্বর ৯, ২০২১



AstuteHorse