সালিম আলীর বাইনোকুলার
সিদ্ধার্থ অভিজিৎ
অর্থাৎ, অস্তমিত সূর্যের দোহাই দিয়ে
রাতের ঘুম ভাঙালো বিজ্ঞ পেঁচারা।
হিল্লোলিত নারকেলের পাতা অনিমেষ একাগ্রতায়—
খসখস আওয়াজে মৃত্তিকালগ্না ইঁদুরটিকে
চুম্বন করতে চাইলে অভিসন্ধি ফাঁস হতে
সময় লাগলো না! গর্তের উদরপূর্তি ঘটল
নিমেষে।
দেখলাম সালিম আলী তখন বাইনোকুলার হাতে
রাত জাগছে। কনকনে শীতের রাতে নক্ষত্রেরা
জলে ডোবা বালকের মত লুকোচুরি খেলছে, আর
রাধাবতী রাতের ফুলেরা হরিহর আত্মার ছোঁয়া।
সালিম আলীকে ক্লাস সেভেন থেকে চিনতাম।
সখ্যতা নিতান্ত স্থুলদেহী নয়— তবু;
বলতেই ধার দিলো তার শখের বাইনোকুলার।
রাতের সজীব আঁধারে
পাখিদের চিনে গেছি ঠিক, স্তন্যপায়ী আদমের
অ-মৃত জীবাশ্মকে বাইনোকুলারও ধারণে ব্যর্থ।
তারিখ: মে ১৩, ২০২২



AstuteHorse